Thursday, 27 August 2015

দুঃসময়

পাহাড় প্রমান মালার নীচে, 
কাঁদছেন ঈশ্বর !!
জগৎ জোড়া অন্ধকারে হাসছেন ঘুসখোর।

ছবির গান্ধী  চুপিসাড়ে এ হাত থেকে ও হাত,
নাগরিক চাতুর্যে ঝলমল করে
 কালোরাত্রির ফাঁদ।
মনুষ্যত্ব, মূল্যবোধেরা জলের দরে বিকোয়,
বিদেশি কলার, সাদা সাদা হাত
 গঙ্গাজলে নিকোয়--
সাজানো গোছানো সুপারিপাটি
 আভিজাত্যের উঠোন ;
অন্তরালে শকুনির পাশা,
 তীক্ষ্ণ চতুষ্কোন !! 

লোভ লালসায় অগ্নিদগ্ধ ফুলে
বিষাদগুলি ধ্বংসের কথা কয় !!
সমস্ত রাত বারুদ,জীবানু বুকে
উইয়ে ফোঁপরানো তীব্র অবক্ষয়ে----
 ছবির গান্ধী কাঁদেন----!

          লাঠিটা অশ্রু জলে, 
          প্রতিবাদহীন --
         ভেসে গেছে আজ
         নির্বাক স্মৃতি তলে !! 


Thursday, 13 August 2015

পাল্টা হাওয়া




তুমি
আমায় বাসবে ভালো তখন
থাকবো আমি তোমার নীচে যখন!

তুমি
আমায় প্রেরণা দেবে তখন
থাকবো আমি তোমার পিছে যখন!

তুমি
আমায় ভরবে আদরে তখন
যখন তখন দাবাতে পারবে যখন!

দেখ যদি আমি আকাশ ছোঁয়া
তখন তুমি কালচে ধোঁয়া
                                        নিশ্বাসে। 


যখন আমি সবার কাজল
তখন তুমি ঝঞ্জা বাদল
                                      বিশ্বাসে।


তাই আজ পালটে গেল ? 
কিছু কি সত্যি ছিল ? 
                                   নির্ভেজাল !

ছাদটা একই আছে
মাঝে আজ দেয়াল আছে
                                  সব আড়াল !

বেশ আছে



নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো
অনেকদিন ছেড়ে দিয়েছে।
একটা খেলে পাল্টা দিচ্ছে,
এসে দেখে যান , বেশ আছে।

বাড়া  ভাতে নুন  খেয়েছে
মুখ    বুজে   সব  সয়েছে
                                     এতোকাল।

নুন     খেয়েছে , গুন    গেয়েছে
ঝাল  মেখেছে ,  দোষ নিয়েছে
                                    চিরকাল।

সেদিন গেছে , এক অন্য সকাল
মেখেছে নিজের গায়ে,
অতি  সাধারণ  যারা
দুনিয়া রেখেছে পায়ে।

চষে   দেখেছে, খুঁড়ে দেখেছে
 যুঝে দেখছে, বুঝে দেখেছে
                                       এ সময়।

কোমলতা  তাই   সরিয়ে   ফেলেছে
কঠোরতা  দিয়ে  সাজিয়ে  রেখেছে
                                            এ হৃদয়।
              
              ফেলতে চাইলে ফেলবে
আবার,  তুলতে চাইলে  তুলবে !!
                   সে গুড়ে বালি---!!

               নষ্ট করলে ভ্রষ্ট
 এবার,    কষ্ট দিলেই কষ্ট
               যে  একফালি ---!!


কাঠগড়াতেই  দাঁড় করিয়ে কান্না 
ভুলেছে, হেসেছে !! 
উল্টানো তাস পালটে দিয়েছে
এসে দেখে যান, বেশ  আছে।

আমরা,ওরা এবং আরো দু'জন

আরেকটা মহাভারত প্রয়োজন,
প্রস্তুত কর মহাযুদ্ধের আয়োজন।
বেদব্যাস ও কৃষ্ণ কোথায় আছেন ? 
একটা যুদ্ধ যথেস্ট,তাই ভাবছেন ? 

এক দ্রৌপদী আজ যে হয়েছে শত
হাজার,অজুত...অগুন্তি, সেই ক্ষত ! 
শত কৌরব, রক্তবীজের বংশ
যুগান্তরেও বাড়ছে,হবে না ধ্বংস।

ভরা রাজসভা মুহূর্ত মাঝে জঙ্গল ;
পথে পথে আজও দাপায় শ্বাপদ-দঙ্গল ! 
চুপ থেকে ছিল ধর্মের ন্যায় - দন্ড,
আজও অসহায় একা প্রতিবাদী কন্ঠ।

কুরুক্ষেত্র আজকে জগৎ জোড়া,
 নির্ভয়ে এসো; ওদিকে থাকুক ওরা,
কান পেতে শোন পদধ্বনির মিল,
 উঠেছে তপ্ত, ক্ষিপ্ত ঢেউ ফেনিল ! 

'নির্ভয়া'দের হিসেব কোথায় প্রাণের ? 
রক্ত ঝরানো ভাষাহীন সংগ্রামের ? 
লোভী পশুদের জান্তব উল্লাস ! 
নিস্পাপ ফুল হ'ল অকারণ লাশ ! 


উড়ছে হাওয়ায় আজও দ্রৌপদীর বস্ত্র ;
নিরুপায় তাই শব্দে শানিত অস্ত্র---
তুলে ধরেছি অসহ্যকর রাগে,
 শত কন্ঠ  একসাথে যেন  জাগে !! 

বেদব্যাস ও কৃষ্ণ কোথায় আছেন ?
একটা যুদ্ধ যথেস্ট, তাই ভাবছেন ?
ভ্রস্ট সমাজ বারবার ধোয়া প্রয়োজন,
প্রস্তুত কর মহাযুদ্ধের আয়োজন।